কবিতা- আগামী

আগামী
– দীপ্তিমান ভাণ্ডারী

 

 

আমি অফুরান বিষ বাষ্পের মাঝে
মেলে ধরেছি ডানা।
পালকে পালকে আজ মৃত্যুর হাতছানি।
যে হতে পারত আমার স্বপ্ন উড়ান,
সেই স্বপ্নই আজ বড় কুহেলিকাময়।

তবুও কোথাও এখনও
স্মৃতির অতলে জোনাকীরা জাগে,
জাগে প্রাণের অনুভূতি।
জানিনা এই কি আমার
না দেখা পূর্ণিমা রাত?
যেখানে চাঁদের রাতে
মাদলের সূরে স্বপ্নেরা বাঁচে!

আজ আমার নীল শরীরে
কেবল গ্রন্থি বিহীন, ঠিকানা বিহীন
কয়েকটি মায়াবী দুপুর ঘোরাফেরা করে।

ক্রমাগত শব্দের ভীড়ে
তলিয়ে যাচ্ছি আমি।
শব্দের মিছিলে একলহমায়
উঠে আসে আমার অতীত – বর্তমান…
কারা ঐ ডাকছে,আমায়।

আমার আর সময় নেই
এইবার আমি পার করে যাব
এই অলীক স্বপ্নের মায়া পৃথিবী।

আমি একান্ত ভালোবাসা ভরে
কাছে টেনে নিচ্ছি নীল গরল পাত্র।

ক্রমাগত কর্ষণে এই উৎসভূমির
যত পাপ উঠে আসুক;
আমি তাদের সঙ্গে নিয়ে যাব।
কেননা আমি আজ এই পৃথিবীর কাছে
অনেক বেশী ঋণে ডুবে গেছি।
সেই পাপস্খালনের পূণ্য আয়োজনে
আমিই হব অশ্বমেধের ঘোড়া।

তবে তার আগে
আমার অদেখা স্বপ্নের অপেক্ষা,
মুঠো ভরা একটুকরো
প্রজাপতি ঝলমলে রোদ,
টুকরো শিশিরবিন্দু,
শিশুর নিষ্পাপ হাসিমুখ,
যাকিছু আজ বড় দূর্লভ,
সেই সব কিছু আমি
তোমাকে দিলাম— আগামী।

Loading

Leave A Comment